এখনো অ্যাকশন মুডে রুবেল

0
0


‘লড়াকু’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় রুবেলের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি অ্যাকশন হিরো হিসেবে অভিনয় করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। রুবেলের সিনেমা এলে ধরে নেওয়া হতো, অ্যাকশন সিনেমা। যদিও এখন আর আগের মতো ব্যস্ততা নেই রুবেলের। তবে সেদিনের মতো অ্যাকশন মুডেই আছেন তিনি। আগ্রহী তরুণদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। আজ (৩ মে) এ নায়কের জন্মদিন।

রুবেলের অ্যাকশন সিনেমা তখনকার তরুণদের মাঝে কতটা প্রভাব ফেলেছিল, তা অভিনেতা জায়েদ খানের স্ট্যাটাস থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। রুবেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ জায়েদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় স্কুল পালিয়ে যার সিনেমা না দেখলে ঘুম হতো না, যার মার্শাল আর্ট দেখে বালি গরম করে তার মধ্যে ঘুষি মারতাম, দুই দিকে পা ফাঁকা করে কিক করার চেষ্টা করতাম, তিনি আমার ছোটবেলার হিরো, রুবেল ভাই। সিনেমায় তার মার্শাল আর্ট দেখে আনন্দ লাগতো।’

অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে রুবেল

জায়েদ খান তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘পরবর্তীতে এই মানুষটি আমাকে আপন ভাইয়ের মতো আদর করতেন। সবসময় বলতাম আমরা বরিশাইল্লা। আজ রুবেল ভাইয়ের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন রুবেল ভাইয়া। অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা আপনার জন্য।’

রুবেলের পুরো নাম মাসুম পারভেজ রুবেল। তিনি ১৯৬০ সালের আজকের দিনে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২২ বছর বয়সে পরপর দুবার (১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে) জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় ২৬ বছর বয়সে বড় ভাই মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা প্রযোজিত ও শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ সিনেমায় অভিনয় করেন।

এখনো অ্যাকশন মুডে রুবেলবড় ভাই অভিনেতা সোহেল রানার সঙ্গে রুবেল

ঢাকাই চলচ্চিত্রে রুবেল ‘মার্শাল কিংবদন্তি’ ও ‘অ্যাকশন কিং হিরো’ হিসেবে সুপরিচিত। এ ছাড়া লড়াকু নায়ক, বাংলার ব্রুসলিও বলা হতো তাকে। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘উত্থান পতন’, ‘উদ্ধার’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্টি’, ‘ভণ্ড’, ‘বীরবিক্রম’, ‘আমিই শাহেনশাহ’, ‘বিষদাঁত’, ‘বজ্রপাত’, ‘অকর্মা’, ‘ইনকিলাব’, ‘আজাদ’, ‘উত্থান পতন’, ‘সন্ত্রাস’, ‘শেষ আঘাত’, ‘দেশ দুশমন’, ‘অর্জন’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘মা মাটি দেশ’, ‘গোলামির জিঞ্জির’, ‘অধিনায়ক’, ‘বীরযোদ্ধা’, ‘অন্যায় অত্যাচার’ ‘মালামাল’ ‘আন’, ‘ওমর আকবর’ ‘রুবেল আমার নাম’, ‘মহাগুরু’, ‘মিন্টু সম্রাট’, ‘লড়াই’ ‘সম্পর্ক’ প্রভৃতি।

এছাড়াও তিনি সামাজিক, রোমান্টিক, কমেডি ঘরানার সিনেমাও করেছেন। পরবর্তীতে খোকনের সাথে জুটি বেঁধে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ব্যতিক্রমী ভাবনার সব সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা দুজন। তাদের সব সিনেমাই পেয়েছে ব্যবসায়িক সাফল্য। তাদের দুজনার প্রায় সব সিনেমার রয়েছে হাউজফুল রেকর্ড। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চাই ক্ষমতা’ রুবেল আর খোকন জুটির শেষ সিনেমা।

এখনো অ্যাকশন মুডে রুবেলমাসুম পারভেজ রুবেল

রুবেল অভিনীত কোন সিনেমাই ফ্লপ বা ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়নি। বরং রুবেল অভিনীত প্রথম ১০টি সিনেমা ছিল সুপারহিট। শুধু একজন অভিনেতাই নন, রুবেল ছিলেন ফাইট ডিরেক্টর। তার সবগুলো সিনেমার জন্য কাজ করেছে ‘দ্য অ্যাকশন ওয়ারিয়রস’ নামে একটি নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ।

দীর্ঘদিন নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে না রুবেলকে। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে রায়হান রাফির ‘ব্ল্যাক মানি’ ওয়েব ফিল্মে।

এমএমএফ/আরএমডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।