শেষের চাপে পতনে শেয়ারবাজার

0
1


দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৮ নভেম্বর) লেনদেনের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও, শেষ দিকে বিক্রির চাপে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে বিক্রির চাপে এ বাজারটিতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে সিএসইতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে বিক্রির চাপ বাড়ায়। ফলে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এই বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৭৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশের ২৫ কোটি ৯৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম, বিচ হ্যাচারি এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় পাঁচ কোটি তিন লাখ টাকা।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।