সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বব্যাপী একটি অন্যতম প্রধান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা। তাই নিরাপদ সড়কের দাবি যেমন দিন দিন জোরালো হচ্ছে, তেমনি এ লক্ষ্য অর্জনে নিরাপদ সড়ক গড়তে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে রোডক্র্যাশে নিহতদের স্মরণে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ দিবস উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা রাজধানীতে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে একথা বলেন তারা।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে অর্ধশত তরুণের অংশগ্রহণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। রোডক্র্যাশে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ দিবসে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মকর্তা, রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সদস্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এসময় একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’র দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মূলত মোটরযান আইন। যেখানে মোটরযানের ফিটনেস, লাইসেন্স, রুট পারমিট ও আইন ভঙ্গের জরিমানাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অনুপস্থিত।
অন্যদিকে, এই আইন প্রয়োগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না আশানুরূপ ফল। এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং গ্লোবাল ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোডক্র্যাশ অর্জনে প্রয়োজন একটি আলাদা সড়ক নিরাপত্তা আইন। যে আইনটি জাতিসংঘ ঘোষিত সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আজকের এ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের রোডক্র্যাশ ও আহত-নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে একটি কার্যকর ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’র দাবি জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।
টিটি/এমএএইচ/এমএস