জুমার নামাজ শুরু করার আগে ইমাম আরবিতে কী বলেন?

0
0


মসজিদুল হারাম বা মসজিদে নববিতে যারা নামাজ পড়েছেন তারা লক্ষ করে থাকবেন নামাজ শুরুর আগে ইমাম সাহেব আরবিতে কিছু কথা বলেন। আমাদের দেশেও অনেক মসজিদে জুমার নামাজ বা অন্যান্য নামাজ শুরু করার আগে ইমাম আরবিতে এ কথাগুলো বলেন। আরবি ভাষা না জানা অনেক মুসল্লি কথাগুলোর অর্থ বুঝতে পারেন না।

এখানে আমরা ইমাম সাহেবরা সাধারণত বলে থাকেন এমন কিছু আরবি বাক্যের বাংলা অর্থ উল্লেখ করছি:

১. ইসতাঊ (استووا) অর্থাৎ সোজা হয়ে দাঁড়ান।

২. ‎তারাস্সূ (تراصوا) অর্থাৎ পরস্পর মিলিত ও আঁটসাঁট হয়ে দাঁড়ান।

৩. সাওঊ সুফূফাকুম (سووا صفوفكم) অর্থাৎ নিজ নিজ কাতার সোজা করুন।

৪. ই’তাদিলূ (اعتدلوا) অর্থাৎ সোজা হয়ে দাঁড়ান।

‎৫. সাদ্দূল-খালাল (سدوا الخلل) অর্থাৎ কাতারের মধ্যকার ফাঁকা জায়গাগুলো পূরণ করুন।

৬. হাযূ বাইনাল মানাকিব (حاذوا بين المناكب) অর্থাৎ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ান।

‎৭. সাদ্দূল ফারাজ (سدوا الفرج) অর্থাৎ ফাঁকা জায়গা পূরণ করুন।

নামাজ শুরু করার আগে নবিজিও (সা.) এভাবে মুসল্লিদের কাতার সোজা করতে বলতেন, মিলিত হয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতেন, ফাঁকা জায়গা রাখতে নিষেধ করতেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন নামাজের ইকামত দেয়া হলো। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের দিকে চেহারা ঘুরিয়ে বললেন,

أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي

নিজ নিজ কাতার সোজা করুন এবং পরস্পর গায়ে গায়ে লেগে দাঁড়ান! আমি আমার পেছনের দিক থেকেও আপনাদের দেখতে পাই। (সহিহ বোখারি: ৭১৮, সহিহ মুসলিম: ৪৩৪)

নামাজের জামাতে দাঁড়ানোর সময় কাতার সোজা, মিলিত ও পূর্ণ করে দাঁড়ানো জরুরি। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলতেন,

أَقِيْمُوا الصُّفُوْفَ وَ حَاذُوْا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَ سُدُّوْا الْخَلَلَ وَ لِيْنُوْا بِأَيْدِيْ اِخْوَانِكُمْ وَ لَاتَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِلشّيْطَانِ وَ مَنْ وَصَلَ صَفّا وَصَلَهُ اللهُ وَ مَنْ قَطَعَ صَفّا قَطَعَهُ اللهُ.

আপনারা কাতার সোজা করুন। কাঁধসমূহকে বরাবর রাখুন। ফাঁকা জায়গা পূর্ণ করুন। আপনাদের ভাইদের হাতের সাথে নরম হয়ে যান এবং শয়তানের জন্য ফাঁকা জায়গা ছেড়ে দেবেন না। যে কাতার মিলিয়ে দেয় আল্লাহ তাআলাও তাকে মিলিয়ে দেন। যে কাতার বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহ তাআলা তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৬৬৬)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,

اِنّ اللهَ وَ مَلٰئِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى الذِيْنَ يَصِلُوْنَ الصُّفُوْفَ وَ مَنْ سَدّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً.

নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এবং ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারসমূহকে সংযুক্ত করে। যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা জায়গা পূর্ণ করে, এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৯৯৫)

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।