চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১ রানে হারিয়েছে ভারত। এতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সূর্যকুমার যাদবের দল।এতে সিরিজ হারের শঙ্কা কেটে গেছে ভারতীয়দের। আগামীকাল শুক্রবার শেষ ম্যাচ জিতলেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত হবে ভারতীয়দের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ ড্র করার একমাত্র উপায় হলো শেষ ম্যাচ জয়।
বুধবার সেঞ্চুরিয়ান সুপারস্পোর্ট পার্কে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২১৯ রান করে ভারত। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ২০৮ রান।
এ ম্যাচে ২০০ রান করেই বিশ্বরেকর্ড করে ভারত। চলতি বছরে মোট ৮ বার ২০০ রান করেছে ভারতীয়রা। এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৭ বার ২০০ বার তার বেশি রান করার কৃতিত্ব ভারত (২০২৩), জাপান (২০২৪) ও বার্মিংহাম বিয়ার্সের (২০২২)।
২০২২ সালের আগস্টের পর কোনো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও গেল জুনে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল প্রোটিয়ারা। যে কারণে এইডেন মার্করামদের উপর চাপ কিছুটা কম। তবে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভাবতে হচ্ছে নিজেদের কৌশল নিয়ে।
সেঞ্চুরিয়ানে বুধবার ডাক মারেন ভারতীয় ওপেনার সঞ্জু স্যামসন (২ বলে ০)। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি করেন অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মা। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি (২৫ বলে ৫০) হাঁকিয়ে ফেরত যান অভিষেক। কিন্তু তিলক খেলেন অপরাজিত ১০৭ রানের দুদান্ত ইনিংস।
তিলক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরির ইনিংস সাজান ৭ ছক্কা ও ৮ চারে। খেলেন ৫৬ বল। এরপর অধিনায়ক সূর্য ১, হার্দিক পান্ডিয়া ১৮, রিংকু সিং ৮, রমনদ্বীপ সিং ১৫ ও অক্ষর প্যাটেল ১ রান করেন। এতে ভারতীয়দের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৯ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার রায়ান রিকেল্টন ২০ ও রিজা হেনড্রিক্স নেন ২১ রান। অধিনায়ক মার্করাম ২৯ ও ত্রিস্টান স্টাবস সাজঘরে যান ১২ রানে।
পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি করেন ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। মিলার আউট হন ১৮ বলে ১৮ রান করে। ক্লাসেন করেন ২২ বলে ৪১ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একমাত্র ফিফটি করেন মার্কে জানসেন। ৫ ছক্কা ৪ চারে ১৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এতে ২০৮ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের হয়ে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন অর্শদ্বীপ সিং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আন্দিলে সিমেলেন ও কেশব মহারাজ
এমএইচ/এএসএম