বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে) ওপর আদেশ আজ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে এ দিন ধার্য রয়েছে।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে সোমবার (১১ নভেম্বর) এ দিন ঠিক করেন আদালত। এদিন আদালতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মুস্তাফিজুর রহমান খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন।
আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি দেওয়া ওই আদেশে সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ উদ্ধার এবং বিদেশ থেকে টাকা ফেরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তথ্য সরবরাহে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে ও সম্পত্তি সংযুক্ত করতে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক এর চেম্বার জজ আদালত আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি সোমবার (১১ নভেম্বর) শুনানিতে ওঠে।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম