ইয়াবার বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল । আগে দেশে পাওয়া গেলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তদারকির কারণে বর্তমানে এর উৎপাদন বন্ধ । তবে সীমান্ত গলিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আসছে এই ট্যাবলেট ।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর । রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদের প্রতিবেদন ।
দেশজুড়ে যখন ইয়াবার বিরুদ্ধে মাঠে আইনশৃংখলা বাহিনী , তখন মাদকসেবীদের কাছে এর বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট ট্যালেন্টাডল । মাদক হিসাবে নতুন ব্যবহৃত এই ট্যাবলেট সম্পর্কে আগে থেকে তেমন ধারণা ছিল না আইনশৃংখলা বাহিনীর । ভারত থেকে অবাধে এই ট্যাবলেট পাচার হয়ে আসছে দেশে । তবে সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর পুলিশ এই ট্যাবলেটের বড় একটি চালান উদ্ধার করেছে ।
ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট যে দেশে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে , তা প্রথম জানা যায় গত জানুয়ারিতে । বগুড়া , জয়পুরহাট ও নওগাঁর বেশ কয়েকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মাদকাসক্তদের সঙ্গে কথা বলে এই ধারণা পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ।প্রয়োজনীয় পরীক্ষা – নিরীক্ষার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ট্যালেন্টাডল গ্রুপের ট্যাবলেটকে ‘ খ ‘ তফশিলভুক্ত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ।
চিকিৎসকরা বলছেন , ট্যাপেন্টাডলের অতিরিক্ত ব্যবহার মাদকসক্তদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে । তীব্র ব্যথায় মরফিনের বিকল্প হিসাবে ট্যালেন্টাডল রোগীদের দেয়া হত্যা । তবে মাদক হিসাবে এটি ব্যবহার করায় এখন আর রোগীদের এ ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে না ।