দুনিয়াজুড়ে গোয়েন্দা চরিত্র জেমস বন্ডের জনপ্রিয়তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই চরিত্রে অভিনয় করে অনেকেই খ্যাতি পেয়েছেন। তবে বন্ড ভক্তরা মনে করেন জেমস বন্ড হিসেবে ড্যানিয়েল ক্রেইগের অভিনয় অনবদ্য।
গেল ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নো টাইম টু ডাই’ ছবির মাধ্যমে ‘জিরো জিরো সেভেন’ হিসেবে সর্বশেষ তাকে দেখা যায়। এরপর থেকেই তিনি জেমন বন্ড হিসেবে আর অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নেন।
কেটে গেছে তিন বছর। তবু নতুন কোনো জেমস বন্ডের দেখা মেলেনি এখনো। ভ্যারাইটিকে তার নতুন ছবি কুইয়ার নিয়ে কথা বলার সময় ক্রেইগকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনার পর কে জেমস বন্ড হিসেবে কাকে চান?’ উত্তরে তিনি সরল ভাষায় বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কিছুই ভাবি না।’
অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিওর প্রধান জেনিফার স্যালকেয় একটি সাক্ষাৎকারে দ্য অবজারভার-এ বলেন, ‘কোন অভিনেতা বন্ড হতে পারেন, এমন অনেক ভালো ধারণা আমার কাছে এসেছে। আমাদের অনেক অপশন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইওন প্রোডাকশন্স এবং বন্ডের প্রযোজক বারবরা ব্রকলি ও মাইকেল জি. উইলসনের সঙ্গে কাছাকাছি কাজ করছি। আমরা চাই না তাদের চলচ্চিত্র তৈরির পদ্ধতি পরিবর্তন হোক। আমরা তাদের নেতৃত্ব অনুসরণ করছি, এবং বিশ্বাস করি ফ্যানরা ধৈর্য ধরবে। পরবর্তী ছবি তৈরিতে আমরা খুব বেশি দেরি করতে চাই না, তবে এখনই তাড়া নেই।’
এ বছরের শুরুর দিকে, কিছু গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে অ্যারন টেইলর-জোহনসন হয়তো পরবর্তী বন্ড হতে পারেন, কিন্তু এক অন্দরের সূত্র জানিয়েছে যে এই গুঞ্জনগুলো সঠিক নয়।
একটি রেড কার্পেট সাক্ষাৎকারে টেইলর-জোহনসনও সেই গুঞ্জন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
এদিকে তুরস্কের চলচ্চিত্র উৎসবে নিষিদ্ধ হয়েছে ড্যানিয়েল ক্রেইগের ‘কুইয়ার’ সিনেমাটি। সমকামিতা নিয়ে তৈরি সিনেমাটির প্রদর্শনী নিয়ে তুরস্কের সরকার আপত্তি জানানোর কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
এলএ/এমএস