পৃথিবীতে যত দেশ আছে তার একেকটি একেক কারণে মানুষের নজরে থাকে। আরব আমিরাত থেকে শুরু করে আমেরিকা, কিংবা থ্যাইল্যান্ড একেক কারণে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। সারা বছরই এসব দেশে পর্যটকরা আসেন। দেশগুলোর অর্থনীতিতে যা অনেক বড় অবদান রাখে।
তবে ছবির মতো সুন্দর ঝকঝকে এক দেশের কথা জানাব আজ। যেখানে আছে সোনা, রুপার তৈরি প্রাসাদ এবং চোখ জুড়ানো নানান দৃশ্য। নানান স্থাপত্য, ভাস্কর্যের সম্ভার এখানে। তবে দেখার জন্য কেউ আসে না এখানে। মূলত পর্যটকদের অনুমতি দেয় না দেশটি।
আরও পড়ুন
দেশটির নাম তুর্কমেনিস্তান। মধ্য এশিয়ার একটি দেশ এটি, যা ক্যাস্পিয়ান সাগরের পূর্বে অবস্থিত। দেশটি বিশাল মরুভূমি এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদের জন্য পরিচিত। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। দেশের সরকার বেশ কড়া এবং জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান।
তুর্কেমেনিস্তানে পর্যটকদের সংখ্যা কম হওয়ার মূল কারণ হলো ভিসা এবং প্রবেশাধিকারে সীমাবদ্ধতা। তুর্কেমেনিস্তানে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণের জন্য কঠিন ভিসা প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয়। অধিকাংশ পর্যটককে নির্দিষ্ট গাইডের সঙ্গে চলতে হয় এবং বিনা অনুমতিতে স্বাধীনভাবে চলাচলের অনুমতি নেই।
এ দেশের রয়েছে কড়া নিয়মকানুন এবং পর্যবেক্ষণ। দেশটিতে পর্যটকদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। অনেক এলাকায় ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ, এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগেও অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে।
যে কারণে তুর্কেমেনিস্তানের কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থান থাকলেও, বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের মধ্যে এটির জনপ্রিয়তা কম। দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরভ শহরের ধ্বংসাবশেষ এবং দারভাজা গ্যাস ক্রেটার, তবে এসব স্থানের উন্নত প্রচার হয় না।
এছাড়া তুর্কেমেনিস্তানে পর্যটন খাতের অবকাঠামো খুবই সীমিত। আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং পর্যটন সংক্রান্ত অন্যান্য সেবার অভাব রয়েছে। তবে শুধু পর্যটকদের জন্যই যে কঠোর নিয়মকানুন তা কিছু নয়, এই দেশের নাগরিকদেরও যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানোর এবং কথা বলার স্বাধীনতা নেই। দেশ গোটা পৃথিবীর থেকে বিচ্ছিন্ন। বাকি দেশের মানুষ এই দেশের কথা জানেন না।
তবে দেশের নাগরিকদের নানান সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিনামূল্যে পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস ব্যবহার করেন। তবে কালো গাড়ি রাখতে পারবেন না কেউ। এছাড়া আরও বেশ কিছু নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন
কেএসকে/এমএস