অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানার ২৩৯ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের একটি তালিকা কারখানার প্রধান ফটকে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কারখানা ছয়টি।
তুসুকা কারখানার একজন শ্রমিক বলেন, ‘ছাঁটাইয়ের খবর পেয়ে সকালে কারখানায় গেটে এসে দেখি আমাদের অনেকের নাম রয়েছে। অথচ গণ্ডগোল করেছে অন্য কারখানার লোকজন।’
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ নভেম্বর শ্রমিক আন্দোলনের কারণে ৩ নভেম্বর থেকে কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কারখানায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ে খবর পেয়ে সকাল থেকে আশপাশের পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা কারখানার সামনে ভিড় করছেন।
ছাঁটাইয়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নাজমা আক্তার বলেন, ‘আমরা চাকরি ফিরে চাই। কাজ করতে চাই। কোনো ঝামেলা চাই না।’
তুসুকা ট্রাউজার লিমিটেড কারখানার অপারেটর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কোনো অপরাধ নেই। তারপরও আমাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এখন আবার নতুন করে চাকরি কোথায় পাবো।
কারখানার আরেক শ্রমিক মো. বিল্লাল। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে তার মোবাইলে মেসেজ আসে—‘মো. বিল্লাল। আপনাকে ৬/১১/২০২৪ থেকে অবসান করা হলো। আপনার সমুদয় পাওনাদি কারখানার হিসাব শাখা হতে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের বিধি মোতাবেক ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের সব পাওনাদি শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, কারখানায় মারামারি ও ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের খবর পেয়ে কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এসআর/এএসএম