সাইবার আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন আদম তমিজী

0
3


রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার জুয়েল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর আদম তমিজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুর রহমান নাঈম। রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আদম তমিজী হক তার ফেসবুক ব্যবহার করে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ, মিথ্যা ও আক্রমণাত্মক তথ্য-উপাত্ত প্রচার করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ বর্তমান সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর, আপত্তিজনক, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তিনি তার অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আসামিরা সংঘবদ্ধ সরকারবিরোধী ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের এসব নেতিবাচক কার্যকলাপে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে সুগভীর পরিকল্পনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব আপত্তিকর ভিডিও ও বক্তব্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। যাতে শান্তিপ্রিয় জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়।

মামলার পর গত ৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে আদম তমিজী হককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ১১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জেএ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।