ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায়ও সারাদেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৯৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৩২০ জন এবং শনাক্ত বেড়ে ৬৫ হাজার ৭৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তিনজন, ঢাকা বিভাগে (ঢাকার দুই সিটির বাইরে) একজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৩, খুলনা বিভাগে ১৭১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, রংপুরে ৩৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এক হাজার ২৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩০৪ জন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান
এএএম/এমকেআর/এমএস