সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ। আজ সোমবার একটি বাংলা দৈনিকে এ খবর প্রকাশের পর থেকে ক্রিকেট পাড়ায় সাড়া। মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য। কয়েকটি অনলাইন পোর্টালেও সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
খবরটা কি সত্যি? সত্যিই সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে? তাও কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে ম্যাচে নাকি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন।
কিন্তু তারপর তো সাকিব ভারতের বিপক্ষে দু’দুটি টেস্ট ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। কই তখন তো কোন অবজেকশন আসেনি আইসিসির পক্ষ থেকে?
সংবাদ কর্মীদের মাঝেও প্রশ্ন উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যার পরে জানা গেল, সংবাদটা একদমই ভিত্তিহীন। ভুল। বানোয়াট। সাকিবের বোলিং অ্যাকশন মোটেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।
বিসিবি থেকে আজ পরিষ্কার জানানো হয়েছে, ‘সাকিবের বোলিং নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেছে, সাকিব রিপোর্টেড হয়েছেন- এখন পর্যন্ত এমন কোন খবর বিসিবিতে আসেনি। আইসিসি থেকে কিংবা সাকিবের কাউন্টি ক্লাব সারেও তা বিসিবিকে জানায়নি। এটা পুরোই ভুল ও কল্পনা প্রসূত সংবাদ।’
বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতিখার রহমান মিঠু জাগো নিউজকে জানান, তিনি বা বিসিবির কোন কর্মকর্তা এমন কোন খবর শোনেননি। বিসিবিকে কোনো মাধ্যম থেকে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার খবর পাঠানো হয়নি।
বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার ও সর্বশেষ বিশ্বকাপসহ গত এক কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রাবিদ ইমাম জাগো নিউজকে জানান, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোন খবর আমি বা আমরা (বিসিবি) জানি না।’
রাবিদ পুরো প্রক্রিয়াটির ব্যাখ্যা করে জানান, ‘সাধারনতঃ কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহ হলে সেটা রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। ওই ক্রিকেটার যে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, সেই ম্যাচের আম্পায়াররা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রিপোর্ট করেন। তখন সেই ক্রিকেটার যে দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন, সেই ক্লাব, দল কিংবা জাতীয় দল- যেই হউক না হোক না কেন, সেখানে সবার আগে খবর দেয়। একইভাবে সে খবর আইসিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডেও চলে আসে। সাকিবের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি।’
‘আর সবচেয়ে বড় কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইংলিশ কাউন্টি খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের। সেটা সেপ্টেম্বরের প্রথম অংশের খবর। তার দুই সপ্তাহ পরতো সাকিব ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টও খেলেছে। রিপোর্টেড হলেতো আর ওই টেস্ট দুটি খেলা সম্ভব হতো না। কাজেই এ ধরনের সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই।’
এআরবি/আইএইচএস