লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার সমস্যাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়। এক্ষেত্রে লিভারে মেদ জমে ধীরে ধীরে সেখানে প্রদাহ হয়। ফলে লিভার নিজের কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। তাই সুস্থভাবে জীবন কাটাতে ফ্যাটি লিভারকে বশে আনা জরুরি। আর এ কারণেই ডায়েটে রাখুন কয়েকটি খাবার-
টকদই
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমন আরেকটি খাবার হলো টক দই। তাই সব ফ্যাটি লিভার রোগীদের নিয়মিত এই দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ। তবে দই খেয়ে উপকার পেতে চাইলে বাড়িতে লো ফ্যাট মিল্ক দিয়ে দই তৈরি করে সেবন করতে হবে। ব্যাস এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।
প্রোটিন
ভারতের এক বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরি জানান, ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনের ডায়েটে মাছ, মাংস, ডিম রাখতেই হবে। কারণ এগুলোতে আছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান লিভারের কোষের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন
তাই নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারকে পাতে জায়গা করে দিন। তবে ভুলেও কিন্তু ফ্যাটি লিভার নিয়ে মাটন খাবেন না। কারণ এই মাংসে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার যা কি না লিভারের ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলুন।
কাঁচা হলুদ
একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে হলুদ। এমনকি ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে এর জুড়ি মেলা ভার। আসলে কাঁচা হলুদের আছে প্রদাহনাশক ক্ষমতা। তাই নিয়মিত এই ভেষজ সেবন করলে যে লিভারের প্রদাহ অনেকাংশেই কমবে।
শাক-সবজি
আমাদের অতি পরিচিত শাক ও সবজিতে আছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু দেহের ফ্যাট মেটাবোলিজম বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও মজুত আছে যা কি না লিভারের প্রদাহ কমানোর কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব এসব খাবারকে পাতে জায়গা করে দিন।
অল্প করে বারবার খেতে হবে
কোয়েল পাল চৌধুরির মতে, অনেকক্ষণ পর খাবার খেলে লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকি বাড়ে। তাই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলে অনেকক্ষণ বাদে খাবার না খেয়ে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু মুখে চালান করুন। তাতেই আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার পথ প্রশস্থ হবে।
জেএমএস/এমএস