পাটচাষ কীভাবে লাভজনক করা যায়, সে চেষ্টা করছি: কৃষি উপদেষ্টা

0
2


পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, কৃষকরা এখন পাটের চাষ করতে চান না। তারা ওই জমিতে অন্য ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। তাই কীভাবে পাটের চাষ লাভজনক করার মধ্য দিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় তা নিয়ে আজ পাট বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৫৬ ধরনের পাটের জাত আবিষ্কার করেছেন। পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার সচেষ্ট।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

পাটপণ্যের বাজার বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, পাটের তৈরি পণ্য সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব। পাটের ভবিষ্যৎ অবশ্যই আছে, এর বহুল ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাটশাক, পাটের চাও খাওয়া যায়। সবকিছু কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো একসময়। এখন আর সেই দিন নেই। এ সরকার সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট।

সরকার পলিথিন ব্যবহার বন্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ কৃষি উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে বাজারে পলিথিনের ব্যবহার অনেক কমে গেছে। আগামীতে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাবে, হয়তো কিছু সময় দিতে হবে।

তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধ করে এর বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ বাজারজাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পাটের ব্যাগ নমুনা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে কম দামে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা যায়।

মতবিনিময়কালে কৃষি উপদেষ্টা পাটবীজ উৎপাদন বাড়ানো, সাশ্রয়ী মূল্যে পাটজাত দ্রব্য সরবরাহের উপায় খোঁজা, কৃষকদের জন্য পাট চাষ লাভজনক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

পরে উপদেষ্টা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নার্গিস আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এনএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।