ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ওএমএস চালের ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সদস্য সচিব শ্রী উজ্জ্বল কুমার দত্ত, ডিলার মোছা. খায়রুন নাহার সনি, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন মো. খায়রুল ইসলাম রতন। পরে বিচারক এএসএম আনিসুল ইসলাম এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সারোয়ার জাহান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র জনসাধারণের স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান ও পুষ্টি নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্যশস্য বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই কর্মসূচিতে ডিলার হওয়ার জন্য খায়রুল ইসলাম রতন ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সদস্য সচিব বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু শ্রী উজ্জ্বল কুমার দত্ত তার কাগজপত্র না দেখে খায়রুন নাহার সনিকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নীতিমালা/২০১৭ এর ৫.২ (ক) এর বিধান মতে, যোগ্যতা যাচাই করে ডিলার নিয়োগ করতে হবে। নীতিমালার ৫.২ (খ) এর বিধান মতে আবেদনকারীর ইউনিয়নে বড় হাটে বা বাজারে নিজস্ব/ভাড়ায় দোকান থাকতে হবে। কিন্তু খায়রুন নাহার সনির কোনো দোকান বা গুদাম না থাকা স্বত্বেও শ্রী উজ্জ্বল কুমার দত্ত যোগ্যতা যাচাই না করে তাকে ডিলার নিয়োগ দেন।
এ বিষয়ে শ্রী উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, লটারির মাধ্যমে ইউএনও ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, আমি মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র পেলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/জেডএইচ/এএসএম