আওয়ামী-বাকশালী ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও তারা তাদের দোসরদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এজন্য দেশ ও জাতিসত্তা বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর অঞ্চল আয়োজিত ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। আমাদের যেকোনো উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততায় ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই অর্জিত বিজয়ে অতি উল্লসিত না হয়ে বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
জামায়াত একটি আদর্শবাদী, গণমুখী ও ইনসাফপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জামায়াত সব সময়ই সুশৃঙ্খল, সহনশীল, উদার মনোভাবাপন্ন ও আমানতদার জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে দেশে নৈতিক বিপ্লব ঘটাতে চায়। দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন ও দুঃশাসন মুক্ত করতেও আমরা বদ্ধপরিকর।’
মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমরা গণমানুষের কল্যাণে বিভিন্ন গণমুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছি। মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন জনহিতকর ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতাল ও শিক্ষা সম্প্রসারণে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্যও বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। আমরা সুদবিহীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছি একবিংশ শতাব্দীতেও সুদ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর অঞ্চল পরিচালক জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে দারসুল কুরআন পেশ করেন শূরা সদস্য ড. আব্দুস সামাদ।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল আউয়াল আজম, সাখাওয়াত হোসেন ও মশিউর রহমান।
এএএম/এসআর