মারিয়া হোসেন:
ঈদ বিনোদনের আয়োজনে নাটক সবসময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ। কয়েক মাস আগে থেকেই ঈদের নাটকের প্রস্তুতি-পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয় পরিচালক-প্রযোজকদের। এ সময়কে ‘পিক টাইম’ বলা হয় ছোটপর্দার শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্য। শুটিং হাউসগুলো রাতদিন গমগম করে ‘অ্যাকশন, কাট’ আওয়াজে। তবে ওটিটির চাপে এখন অনেকটাই কোণঠাসা টিভি চ্যানেলগুলো। ওয়েব সিনেমা কিংবা সিরিজের কাজে পারিশ্রমিক যেমন বেশি, কাজও হয় অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে, গুছিয়ে। জনপ্রিয় অনেক অভিনয়শিল্পী তাই এখন টিভি নাটকের সংখ্যা কমিয়ে মন দিয়েছেন ওয়েব কনটেন্টে। আর এর প্রভাব পড়েছে টিভি নাটকে।
মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশো, অপূর্ব, তাহসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহজাবীন চৌধুরী, তাসনিয়া ফারিণের মতো তারকারা এবারও নাটকে সময় দিয়েছেন কম। মোশাররফ করিম এখন ওয়েব কনটেন্ট ও সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। প্রতি ঈদে তার ৩০টির বেশি নাটক প্রচারিত হয়। তবে এ সংখ্যা কমেছে এবার।
ওটিটি ও সিনেমায় ব্যস্ত হওয়ায় আফরান নিশো এবার ছোটপর্দায় অনুপস্থিত থাকবেন। অপূর্ব অভিনীত নাটকের সংখ্যা নেমেছে ১০-১৫-তে। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এখনও শুটিংয়ে ফেরেননি নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যরাও টিভি নাটক থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে জনপ্রিয় শিল্পীদের শিডিউল পেতে নির্মাতাদের এবার বেশ ধকল গেছে।
এ ‘শূন্যতা’ পূরণে বিকল্প পথে হেঁটেছে টিভি চ্যানেলগুলো। নতুন মুখ নিয়েই ঝুঁকি নিয়েছে তারা। এবারের বেশিরভাগ ঈদ নাটকে অভিনয় করেছেন নতুন অভিনয়শিল্পীরা। তালিকায় আছেন আরশ খান, সামিরা খান মাহি, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, রুকাইয়া জাহান চমক, কেয়া পায়েল, সাদিয়া আয়মান—যারা কয়েক বছর ধরে টিভি নাটকে নিজেদের অবস্থান তৈরির দৌড়ে আছেন, তারা এবার ঈদের নাটকে হয়ে উঠবেন প্রধান মুখ।
এছাড়া নিলয় আলমগীর, খায়রুল বাসার, জোভান, মুশফিক ফারহান, শামীম হাসান সরকারেরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাটক প্রচারিত হবে এবার। ফলে এবারের ঈদে তারা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাবেন। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন টেলিভিশনের নাটকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে শিল্পীসংকট যেমন কাটবে, তেমনি জনপ্রিয় তারকাদের ওপর চাপ কমবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
/এসএইচ