মিরপুরের পল্লবী থানায় পুলিশের নির্যাতনে ঝুট ব্যবসায়ী ঈশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৩ পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের দুই সোর্সকেও ৭ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই রায়টি দেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হেফাজতে নির্যাতন এবং এ সংক্রান্ত মৃত্যু প্রতিকারে জাতিসংঘের একটি সনদের আলোকে ২০১৩ সালের ২৪ শে অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু সংক্রান্ত আইনটি প্রণয়ন করে। এই আইন প্রণয়নের ৭ বছরের মাথায় আজ এই প্রথম পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর মামলার রায় হলো।
২০১৪ সালে বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের একজন সোর্স সুমনের সাথে জনির বাধানুবাধ হয়। তার জের ধরে সুমন পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে এসে জনিকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। জনিকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে পুলিশের সদস্যরা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যায় জনি।
এই ঘটনায় জনির পরিবার পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু নিবারণ আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৬ বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই মামলার রায় দিলেন। এই মামলার প্রধান আসামী এস আই জাহিদ, এ এস আই রাশেদুল এবং এ এস আই কামরুজ্জামান মিন্টু’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের দুই সোর্স সুমন এবং রাসেলকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২৫ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari