সুনামগঞ্জ ভ্রমণে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) একটি হোটেলে আটকা পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ জন শিক্ষার্থী। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাদের সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হলে সুরমা নদীর একটি চরে আটকা পড়ে তারাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী। এতে জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে তারা।
আজ শনিবার (১৮ জুন) রেসকিউ বোট ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ ট্যুরিজম বোট’ এর মাধ্যমে তারা সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকে যায় তারা।
গত ১৪ জুন রাতে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিল তারা। ১৬ জুন অঞ্চলটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সেদিন তারা নানা কাঠখড় পেরিয়ে সুনামগঞ্জ শহরে আসতে সমর্থ হয়। তবে, সুনামগঞ্জে পানশি হোটেলে আটকা পড়ে।
পরে গতকাল শুক্রবার সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসে স্থানীয় প্রশাসন। সেখান থেকে আজ দুপুর আড়াইটায় তারাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০০ জনকে লঞ্চে করে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হলে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে।
আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. শোয়াইব আহমেদ। যমুনা টেলিভিশনকে তিনি জানান, আমরা একটা নদীর মাঝখানে আটকে আছি। লঞ্চটা একদিকে হেলে আছে। লঞ্চটির দুইটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে।
শোয়াইব জানান, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কেউ ইমার্জেন্সি সাহায্য না দিয়ে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলতেছে। আমাদের জরুরি সাহায্য দরকার।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে। এছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, নিজেদের অবস্থান পু্লিশ প্রশাসনকে বর্ণনা করতে ও নিজেদের মনোবল না হারাতে।
জেডআই/