পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাওয়ার পথে আট কিলোমিটার আগে থেকেই আটকে দেয়া হচ্ছে ছোট গাড়ি। তাদেরকে বাইপাস সড়ক দিয়ে পাঠানো হচ্ছে ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে। আঁকাবাকা গ্রামীণ সড়ক ঘুরে যেতে সময় বেশি লাগলেও, পুলিশ বলছে ঘাটের যানজট আর যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতেই নেয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ।
পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ি। বাস ও লঞ্চ যাত্রীদের জন্যও রয়েছে আলাদা নির্দেশনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছোট-বড় গাড়ি এক সঙ্গে ঘাটে ঢুকে যেন জটের সৃষ্টি না হয়, এজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে আলাদা সড়ক। বাসগুলো সরাসরি ঘাটে যেতে পারলেও, আট কিলোমিটার আগেই আটকে দেয়া হচ্ছে ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে পাঠানো হচ্ছে বাইপাস সড়কে। আঁকাবাকা সেই গ্রামীণ সরু পথে চলতে গিয়ে নানা দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। রাস্তা সরু হওয়ায় পাশাপাশি দু’টি গাড়ি পার হতে বেশি সময় লাগছে বলে জানাচ্ছেন চালকরা।
পুলিশ বলছে, ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে সুশৃঙ্খল রাখাই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর অংশ হিসাবে যানবাহনগুলোকে আলাদা সড়কে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কোন গাড়ি কোন দিক দিয়ে ঢুকবে এবং কোথায় সাধারণ যাত্রী নামবে তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। ভোগান্তি এড়াতে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলারও আবেদন করেছেন মানিকগঞ্জের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনের নির্দেশনাগুলো মেনে চললে, ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
এসজেড/