জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পনেরো সদস্যের পরিষদে মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে একটি মাত্র ভোট পড়ে। ফলে প্রত্যাখাত হয় যুক্ত্রাষ্ট্রের প্রস্তাব।
এরপরই আবারো শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বাকযুদ্ধ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয় সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্যই তেহরান ইস্যুতে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে ওয়াশিংটন। পরে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়কে লজ্জাজনক হিসেবে আখ্যা দেন।
পাল্টা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে আবারো চেষ্টা চালানো হবে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে না পারা নিরাপত্তা পরিষদের বড় ভুল হিসেবে উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
অন্যদিকে নিউ জার্সিতে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন আগামী সপ্তাহেই ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না বাড়ানোয় মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের আগ্রাসন আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ঈসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
আরো পড়ুনঃ ইসরায়েলের সাথে আরব আমিরাতের চুক্তিতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari