মার্শেইয়ের বিরুদ্ধে পিএসজির ৩-০ গোলের জয়ে চুম্বক অংশ হিসেবে কেবলই আসবে মেসি-এমবাপ্পের বিস্ফোরক জুটি। বর্তমান সময়ে মেসি-ম্যাজিকের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলা যেতে পারে এই ম্যাচকে। খুব বেশি না দৌড়েও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণী তিনটি মুহূর্তেই মেসি দেখিয়েছেন তার প্রভাব। এর সাথে এমবাপ্পের বিদ্যুৎ গতি ও ফিনিশিংয়ের সমন্বয় মিলে যাওয়ায় উঠে আসছে একটি প্রশ্ন, পিএসজির আক্রমণভাগে নেইমারকে কি আদৌ প্রয়োজন আছে! গোল ডটকমে থমাস হিন্ডেলের প্রতিবেদন।
ইনজুরিতে মাঠের বাইরে থাকা নেইমারের অনুপস্থিতিতেই যেন বেশি বিপজ্জনক মনে হয়েছে পিএসজির আক্রমণভাগকে। অ্যাঙ্কেলের চোটে থাকা ব্রাজিলিয়ান এই তারকার অনুপস্থিতি যেন টেরই পায়নি ফরাসি জায়ান্টরা। নেইমারের ফুটবলীয় সৃষ্টিশীলতার ভাণ্ডার অফুরান হলেও কাউন্টার অ্যাটাক ভিত্তিক ছকে খুব একটা মানানসই যেন নন তিনি! বরং, অনেক সময়ই আক্রমণের গতি কমিয়ে দেয়ার দায় নেইমারকে দেয়া খুব কঠিন হবে না। বল পায়েই বেশি স্বচ্ছন্দ বলে অনেক কাউটার অ্যাটাকেই জায়গা সংকুচিত করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। এতে বলের দখল হারানোর ঘটনাও চোখে পড়ে বেশি। অসাধারণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার চোখের জন্য আরামদায়ক অসংখ্য দৃশ্য সৃষ্টি করার পরেও যেন পিএসজির এই আক্রমণভাগে কিছুটা বেমানান।
আর, এসব দাবিকে সমর্থনের জন্যই যেন রোববারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচটি সাজিয়ে বসেছিল প্রমাণের পসরা! একজন আরেকজনের পেছন থেকে পালাক্রমে আক্রমণে উঠে আসছিল মেসি ও এমবাপ্পে। তাদের পেছনে ছিল অপেক্ষাকৃত আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড ত্রয়ী। রক্ষণাত্মক কোনো দলের বিরুদ্ধে অবশ্যই পিএসজি স্কোয়াডে নেইমারের অন্তর্ভুক্তি হতে পারে ফলপ্রসূ। কিন্তু যে ম্যাচে খেলা হয় অনেক বেশি উন্মুক্ত, জায়গার ব্যবহার করতে হয় গতি ও দ্রুত পাসিংয়ের মাধ্যমে- সেখানে হয়তো নেইমারকে পিএসজির খুব একটা প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: মেসির ৭০০তম গোলের রাতে এমবাপ্পের জোড়া লক্ষ্যভেদ, জিতলো পিএসজি
/এম ই