পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে ভান্ডারিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের বাড়ি ও ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান জানায়, তেলীখালী এলাকায় একটি ইফতার অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরই জাতীয় পার্টি, জেপির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তার বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে তাদের সাথে আবারও মারামারি হয়। এতে দু’পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া ৩টি মোটরসাইকেলও আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভান্ডারিয়া জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল জানান, তেলিখালী ইউনিয়নে একটি ইফতার অনুষ্ঠানে গেলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং হামলায় তাদের ৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এদিকে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে ও ব্যবসায়িক কার্যালয়ের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না বলে জানান।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, তেলীখালী এলাকায় একটি ইফতার পার্টি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জেপি (মঞ্জু) গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। দু’পক্ষের লোকই আহত হয়েছেন।
ইউএইচ/