কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় গণমাধ্যম জানায় ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে ১ হাজার ৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের এক সংসদ সদস্য সহ তিন জনের একটি চক্র।
এরপরই কুয়েত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল। তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচার এবং রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। কুয়েত আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছেন পাপুল।
দেশটির আইন অনুযায়ী মূদ্রা পাচারের অভিযোগ প্রমানিত হলে পাপুলের সাজা হবে ৭ বছর। সেই সাথে মানব পাচারের অভিযোগ প্রমানিত হলে সাজা হবে ১৫ বছর। আর যৌনকর্মী পাচার প্রমানিত হলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এরই মধ্যে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর বিবেচনায় যতদিন প্রয়োজন ততদিন রিমান্ডে রাখার অনুমতি দিয়েছে কুয়েতের আদালত।
কুয়েতের মতো দেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে মানব পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগের। তবে কুয়েতের চলমান আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফেরত পাঠানো বা দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সুযোগ আপাতত নেই।
তবে আইনজীবিরা বলছেন তার অবর্তমানে দেশেও অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশে ফিরলেই তাকে সেই শাস্তিও ভোগ করতে হবে।
পাপুলের এহেন কর্মকান্ডে দেশের ভাবমূর্তি খুন্ন হয়েছে বলছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম।
কুয়েতের আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ও শাস্তি হলে পাপুলের সংসদ সদস্য বাতিল হওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র।