বাংলাদেশে পাহাড়বাসীদের প্রিয় সবজি বাঁশকোড়ল (বাঁশের কচি ডগা)। এটি স্থানীয়ভাবে বাচ্চুরি নামে পরিচিত। সমতলের লোকজন রান্নায় বাঁশের তেমন ব্যবহার করেন না। অনেকেই জানেন না, কচি বাঁশ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। চলুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক বাঁশের গুণাগুণ সম্পর্কে।
হজমে সাহায্য করে:
হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করতে নানা রকম ওষুধ খেতে হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাতে কাজ হয় না। প্রতিদিনের ডায়েটে কচি বাঁশ রাখলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ফ্যাট দূর হয়, পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে:
কচি বাঁশে ভরপুর মাত্রায় ফাইটোস্টেরল থাকে। এই যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্ত চলাচলে ভালো হয়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
হাড় ভালো থাকে:
কচি বাঁশে ভালো মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি বেশ ভালো পরিমাণে থাকে। এই ভিটামিন সি হাড়ে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি। ডায়েটে এই সবজি রাখলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ভাজাপোড়া, রাস্তার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। তাই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়:
কচি বাঁশে সিলিকা নামে যোগ থাকে। এই যৌগ শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বাড়লে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/