মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আতংকিত সারা বিশ্বের মানুষ।বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এই মহামারী ভাইরাস। এই আতংকিত পরিস্থিতিতে টানা ৪১ দিন ধরে বন্ধ অফিস আদালত ও কল-কারখানা। গত সপ্তাহে কিছু পোশাক কারখানা চালু করা হলেও বাকি সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০শে এপ্রিল) এ সভার নোটিশ জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), এফবিসিসিআই সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি, ডিসিসিআই সভাপতি, বিকেএমইএ সভাপতি, বিটিএমইএ সভাপতি, এমসিসিআই সভাপতি এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছেও সভার নোটিশ বিতরণ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী রোববার উচ্চপর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বেলা ১২টায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভার নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখা বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে দেশে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে কয়েক দফা বাড়িয়ে ছুটি আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে।