গ্রীষ্মকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় সাধারণ গরমও বেশি তীব্র লাগে। আর এবার গরমের মাত্রাও অস্বাভাবিক। প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘাম বাষ্প হয়ে যায় কিন্তু আর্দ্রতা ত্বকে থেকে যায়, ফলে অস্বস্তি বেশি লাগে। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে হিট স্ট্রোক ছাড়াও ব্রণ, লালচেভাব, চুলকানি এবং অস্বস্তিসহ ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময়ে ত্বকতে হাইড্রেটেড রাখতে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।
গরমকালে ঘামের জন্য লোমকূপের ছিদ্রগুলো ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। এর থেকে বিরক্তিকর ব্রণের সৃষ্টি করে। ফলে গরমে ত্বককে পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ‘জোভিস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতা রাখি আহুজা বলেন, গরম কালে সপ্তাহে অন্তত একদিন ফেশিয়াল করা জরুরি। বাড়িতে বসেই করতে পারেন এই ফেসিয়াল।
ঘরে বসে ফেসিয়াল করবেন যেভাবে…
ক্লিঞ্জিং: শুরুতেই ত্বক ‘ফেসিয়াল ক্লিঞ্জার’ দিয়ে ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এক্সফলিয়েশন: ত্বকের যত্নে মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করা প্রয়োজন। ঘরে স্ক্রাব না থাকলে একটা লেবু অর্ধেকটা কেটে তাতে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুখ মালিশ করা: ত্বকে জলপাইয়ের তেল গোলাকারভাবে মালিশ করুন। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে।
ফেস প্যাক: সবচেয়ে ভালো ফেস প্যাক হলো ফলের আঁশ। কলা বা পেঁপের শাঁস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফল চটকে মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
ময়েশ্চারাইজার: সব শেষ ধাপ হল ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। পানি-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য বেশি ভালো।
যাদের ব্রণের সমস্যা আছে, গরমে সে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আহুজা বলেন, ত্বককে ব্রণ থেকে দূরে রাখতে তেল নির্ভর লোশন দূরে রাখা এবং বেঞ্জয়েল পারক্সাইড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ঘন ঘন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া, বেশি করে পানি পান করলেও ব্রণের সমস্যা কমতে পারে।
এসজেড/