পরাধীন অবস্থা থেকে নাগরিকদের রাজনৈতিক মুক্তি হয়েছে, এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে হবে। ফ্যাসিবাদের মাথা চলে গেলেও তাদের সহযোগীরা থেকে গেছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রজনতার খুনিদের এমন শাস্তি দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচারী হওয়ার সাহস না পায়। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক গবেষণা সংস্থা অনুধ্যান কেন্দ্র এর ‘দীর্ঘতম জুলাই: মুক্তির পথ কতদূর?’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ সম্মেলন কক্ষে অনুধ্যান কেন্দ্র এর সদস্য নুর নবী রবিনের সঞ্চালনায় সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটোয়ারী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. তসলিম উদ্দীন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফয়সাল, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুল হক, রাষ্ট্রচিন্তার সহসভাপতি তৃণা ও সদস্য আল মাশনূন।
ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটোয়ারী বলেন, পরপর দু’টি সরকার সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারলে গণতন্ত্র সুসংহত আছে বলে ধারণা করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আর্দশিকভাগে গড়ে তুলতে হবে।
ফ্যাসিবাদ গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান বলেন, সাংবাদিকতায় ফ্যাসিবাদের প্রোমোটররা থেকে গেছে। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পুলিশভ্যানে তুলে দিয়েছে, স্বৈরাচারের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। প্রফেসর ইউনূস শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফ্যাসিবাদকে তাড়া করছে। এই সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. তসলিম উদ্দীন বলেন, রাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য দু’টি অভিশাপ হলো মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব। এবার আমাদেরকে অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে হবে।
সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ সালের এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে। স্বৈরাচারের দোসরদের বাদ দিয়ে ছাত্রজনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এর আগে অনুধ্যান কেন্দ্র এর সদস্য ওয়ালিদুর রহমান ছাত্রজনতার চলমান ৫ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন।
এএজেড/এমএসএম