বিদ্যালয়ের মধ্যেই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভারতের মালদার গাজল থানা এ এলাকার ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর জিনিউজের।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি গত ১৮ মার্চের। ওই স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা ৩৭ জন। শিক্ষক মাত্র একজন। অসুস্থতার কারণে কয়েক দিন ধরেই স্কুলে যেতে পারছেন না ওই শিক্ষক। ওই সুযোগে এলাকার তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়েন। এরপর এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ, এ ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ। মেয়ের এক বান্ধবী যুবকদের লালসার হাত থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি ছুটে গিয়ে দেখি স্কুলের দোতলার একটি ঘরে মেয়ে কাঁদছে। এরপর পাশের একটি প্রাথমিক স্কুলে যাই। কিন্তু সেখানকার শিক্ষকেরা বিষয়টিতে আমল নেয়নি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মালদহের জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ওই স্কুলের শিক্ষক বলেন, মিড ডে মিল থেকে যাতে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত না হয়, তাই পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষককে অনুরোধ করা হয়েছিল স্কুল খুলে রাখার জন্য। স্কুলের একটি ঘর খোলা ছিল। টিফিনের সময় ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে অভিযুক্তেরা স্কুলে ঢোকেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরের তালা ভেঙে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউএইচ/