রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
নিজের ছেলের বউ অর্থাৎ পুত্রবধূকে বিয়ে করায় পারিবারিক কলহের জেরে হামিদুল ইসলাম (৪৩) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে পুঁইজোর খালপাড়া গ্রামে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে হামিদুল আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে হামিদুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল হোসেন ওরফে নয়নের সাথে বিয়ে হয় বালিয়াকান্দি ইসলামপুরের বারমল্লিকা গ্রামের কাশেম মন্ডলের মেয়ে জাহানারা’র। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর কোনো এক সময় থেকে হামিদুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পুত্রবধূ ফারজানা। বিষয়টা এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে তারা পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে।
হামিদুল ইসলামের ছেলে নয়ন বলেন, চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী ফারজানা তাকে তালাক দিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী আদালতে গিয়ে তার বাবা হামিদুলকে বিয়ে করে। পরে এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সংসারে শুরু হয় অশান্তি।
গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কিছু অজ্ঞাত লোক এসে তার বাবার সাথে কথা আছে বলে ডাকাডাকি করেন। এতে তিনি বেশ ভয় পান। এরপর ওই রাতেই তার বাবা নিজ ঘরের আড়ার সাথে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ছোট স্ত্রী (পুত্রবধূ) জাহানারা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু সে প্রাণে বেঁচে যায়।
ওই গৃহবধূ জাহানারা বেগম বলেন, তাকে তার শ্বশুর জোর করে বিয়ে করেছিল। তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে, যে কারণে তিনি তাকে বিয়ে করেন। গতকাল তিনি এ বাড়িতে আসার পর লোকজন বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা শোনায়। অপমান ও লোকলজ্জা এবং পারিবারিক অশান্তির কারণে তার (শ্বশুর-স্বামী) আত্মহত্যা করেছেন।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জনান তিনি।
/এনএএস