ব্যবহৃত পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে টাইলস। ব্যতিক্রমী এ কাজের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখছে মিসরের একদল তরুণ উদ্যোক্তা। এর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এই কার্যক্রম। খবর আরব নিউজের।
প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ রোধেই পরিবেশবান্ধব এমন উদ্যোগ নিয়েছে দ্যা রিসাইকেলিং ফ্যাক্টরি নামের কোম্পানিটি। নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে যেমন কার্বণ নিঃসরণ হয়, তেমনি প্লাস্টিক অব্যবস্থাপনার কারণেও দূষিত হয় পরিবেশ। তাই উল্লেখযোগ্য হারে এমন দূষণ কমাতেই পদক্ষেপ উদ্যোক্তাদের।
দ্যা রিসাইকেলিং ফ্যাক্টরির সহপ্রতিষ্ঠাতা খালেদ রাফাত বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্যকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এবং পরিবেশ দূষণ কমানো যায় সেই ভাবনা থেকেই রিসাইকেলিংয়ের এই বিষয়টি মাথায় আসে।
এছাড়া নির্মাণকাজে ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদনেও প্রচুর কার্বণ নিঃসরণ হয়। মূলত পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই নির্মাণসামগ্রী তৈরিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এই প্রক্রিয়ায় ছুড়ে ফেলা পলিথিন আর প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহের পর গলিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপরই তৈরি হয় পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের টাইলস। বৃহৎ পরিসরে এই কার্যক্রম শুরু করা গেলে দেশটির কার্বন নিঃসরণ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খালেদ রাফাত জানান, এখনও পর্যন্ত ৫০ লাখ প্লাস্টিকের ব্যাগ রিসাইকেল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৫ সাল নাগাদ ৫০০ কোটি ব্যাগ রিসাইকেল করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
প্লাস্টিক রিসাইকেলের এই পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সাথে কাজও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসজেড/