বিয়ের দেড় মাসের মাথায় বিষক্রিয়ায় গৃহবধূর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

0
4


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় বিষক্রিয়ায় খুরশিদা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পরিবারের দাবি- স্বামী ফজলুল করিম পারিবারিক বিরোধের জেরে শরবতের সাথে বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২ মে) সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে খুরশিদার মৃত্যু হয়। তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী ফজলুল করিমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত খুরশিদা জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমানের কন্যা।

অভিযুক্ত স্বামী ফজলুল করিম জেলার সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বটতলী এলাকার জালাল আহম্মদের ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশাচালক।

খুরশিদার ভাই মুশফিকুর রহিম বলেন, দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে আমার বোনের সাথে ফজলুল করিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি আমার বোনের স্বামী মাদকাসক্ত। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৭০ হাজার টাকা এবং আধাভরি স্বর্ণ দিতে হয়েছে। অটোরিকশা কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু সেটা দেয়ার মতো আমাদের সাধ্য ছিল না।

তিনি আরও বলেন, সোমবার (১ মে) রাতে আমার বোনের সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। ওইরাতে সে মাদকসেবন করে ঘরে এসে বোনকে মারধর করে। আমার বোন তাকে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় সে তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মঙ্গলবার সকালে আমরা জানতে পারি আমার বোন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। এসে দেখি বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, আমার বোনকে শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। রাতেই নাকি সে বিষ কিনে আনে। স্বামীর দেয়া বিষক্রিয়ায় আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, বিষক্রিয়ায় খুরশিদা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তার স্বামী ফজলুল করিমকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএআর/