নিজেদের বিশেষ এক মোবাইল এয়ার ডিফেন্স ইউনেটের তথ্য প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলো চলমান যুদ্ধে শত্রুদের ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল হামলা রুখে দেয়ার কাজ করছে। এ কাজে তারা ব্যবহার করেন মেশিনগান ও স্ট্রিংগার মিসাইল। কিয়েভের দাবি, রাশিয়ার ঘুম হারাম করা এই বিশেষ সৈন্যদল যুদ্ধের ময়দানে পেয়েছে ব্যাপক সফলতা।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এই ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোর কাজ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল ভূপাতিত করা। কিয়েভের দাবি, ব্যাপক সফলতার কারণে শত্রুপক্ষের মাথাব্যাথার কারণ এই ইউনিট।
ভ্রাম্যমাণ একেকটি দলে রয়েছে চারজন সদস্য। প্রতিটি দলে রয়েছে একটি করে গাড়ি, যাতে যুক্ত করা আছে এমটু মেশিনগান। দুই কিলোমিটারের নিচ দিয়ে ওড়া ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করতে এই মেশিনগ্যান ব্যবহার করা হয়। এরচেয়ে বেশি উচ্চতার যুদ্ধযানগুলো ধ্বংসে ব্যবহার করা হয় ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা স্ট্রিংগার মিসাইল। চলমান যুদ্ধে, ইউক্রেনের সবচেয়ে সফল সামরিক ইউনিটের একটি এই এন্টি ড্রোন ইউনিট।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার, লেফট্যানেন্ট জেনারেল সেরহি নায়েভ বলেন, কিয়েভে শেষবার যখন একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া, তখন আমাদের এই বিশেষ ধরনের মেশিনগানগুলো তাদের বেশিরভাগ ড্রোনই ভূপাতিত করেছিলো। আমাদের সফলতার হার শতকরা আশি ভাগ। আমরা হয়তো আমাদের প্রতিটি বর্গ মিটার জায়গা রক্ষা করতে পারছি না। তবে প্রতিনিয়তই নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি।
যুদ্ধে এতটাই সফলতা পেয়েছে তারা, দেশজুড়ে আরও বিপুল এন্টি ড্রোন ইউনিট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিয়েভ। ইউনিটের সদস্যরা বলছেন, দেশপ্রেমই তাদের সফলতার রহস্য।
র্যাপিড রিঅ্যাকশন টিম ড্রাইভার স্যাম বলেন, মূলত আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক ও ঐক্যই আমাদের সফলতা এনে দিচ্ছে। আমরা প্রতিটা মিশনেই এক হয়ে কাজ করি। আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই আর তা হলো জন্মভূমি থেকে শত্রুদের বিতাড়িত করা।
রাশিয়ার আধুনিক সমরাস্ত্রের হামলা রুখতে, যুদ্ধের শুরুতে অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন মেশিনগান ব্যবহার করতে হয়েছিল তাদের। এখন, পশ্চিমাদের সহায়তার পর ব্যবহার করছেন আধুনিক অস্ত্র।
এটিএম/