স্টাফ করেসপনডেন্ট, ফেনী:
ফেনীতে বিয়ের প্রলোভনে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৫) বন্ধুর বাসায় নিয়ে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মো. নুরুন নবী (২২)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের মধ্যম শিলুয়া গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরার আদালতে আসামি নুরুন নবী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই আদালতে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর ২২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণের পর তাকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের মধ্যম শিলুয়া গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে মো. নুরুন নবী মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে নানাভাবে কথাবার্তা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে নানা কৌশলে বিয়ের প্রস্তাবে ফুসলিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে ফেনী শহরের পাঠানবাড়ী সড়কের একটি বহুতল ভবনের ৭ম তলায় বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে বিয়ের পরিবর্তে জোর করে ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি ওই বাসা থেকে বের হয়ে তার বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে তাকে প্রলোভন দিয়ে জোর করে ধর্ষণের কথা জানায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুন নবীকে গ্রেফতার করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের ও একজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই যুবক আদালতে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। এছাড়া ওই তরুণীও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এটিএম/