মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে তুলে আনার চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত রাসেল শেখ নামে এক
যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার ও রাজু মৃধা নামে আরও ২ যুবক।
জানা গেছে, বুধবার (১৫ জুন) সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর দাদি জানান, বরিশাট গ্রামের আজাদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মঞ্জুরুল তার নাতনিকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। ফলে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। বুধবার (১৫ জুন) আমার নাতনির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দুইটি মটরসাইকেল যোগে মঞ্জুরুল তার সহযোগী রাসেল শেখ, রাজু মৃধা, লিমন মৃধা ও সিয়াম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আমার নাতনিকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা
করে।
নিহত রাসেলের চাচা আলী হাসান জানান, আমার ভাতিজা রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুলের সাথে ছোনগাছা গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার মেয়েটির বিয়ে হবে- এমন খবরে মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় মঞ্জুরুলের সাথে রাসেলসহ তাদের আরও কয়েকজন বন্ধু মেয়েটির বাড়িতে যায়। এ সময় মেয়েটির পরিবারের লোকেরা তাদেরকে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। পরে, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মাগুরার শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার ছোনগাছা গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেম ঘটিত কারণে কয়েকজন যুবক জোরপূর্বক তুলে আনার চেষ্টা করে। ছাত্রীর মায়ের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ছুটে এসে ওই যুবকদের ধরে বেধড়ক লাঠি পেটা করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে রাসেল শেখের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ১১টায় রাসেলের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের লাশ নিয়ে ইতোমধ্যেই তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
/এসএইচ