২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উপর বর্বর ও অমানবিক নির্যাতনে মেতে উঠে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নারীদের ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ এবং গণহত্যার মুখে বাংলাদেশে পালিয়া আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ৩ বছর পার হলেও কয়েকদফা কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো সম্ভব হয় নি।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারকেই দুষছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে গণহত্যা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মিয়ানমারকে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও দেশটি তা পূরণ করে নি। এমনকি রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তদন্ত শুরু করলেও তদন্ত কর্মকর্তাদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় নি মিয়ানমার সরকার।
নিরাপদ পরিবেশ তৈরী করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরাতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়ার পরিচালক ব্রেড এডামস।
প্রত্যাবাসন ব্যর্থতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বলছেন মিয়ানমারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ও ব্যর্থ হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যবস্থার পাশাপাশি মিয়ানমারের উপর আরো চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দেয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্লেষকরা। তবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার পাশাপাশি তাদের ফেরাতে মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুনঃ Myanmar: Rohingya Await Justice, Safe Return 3 Years On
Our Facebook Page : আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari