প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। শরীফুল রাকিবুলদের বোলিং তোপে ২১১ রানের বেশি করতে পারে নি নিউজিল্যান্ড।
আর জবাবে ম্যাচ সেরা মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ৩৫ বল হাতে রেখে লক্ষে পৌছে যায় টাইগাররা।
ফাইনালে রোববার পচেফস্ট্রোম এ ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
যা পারেননি সাকিব তামিম মিরাজ বিজয়রা তাই করে দেখালেন জুনিয়র সাকিব তামিম আর আকবররা। জয়ের ব্যাটে চড়ে লেখা হলো টাইগার ক্রিকেটের নতুন এক ইতিহাস।
নিউজিল্যান্ড কে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে যুব টাইগাররা।
ইতিহাসে প্রথমবার! শুধু অনুর্ধ্ব ১৯ না আইসিসির কোনো বিশ্ব ইভেন্টেই বাংলাদেশের প্রথম ফাইনাল। তাও আবার হেসে খেলে ৩৫ বল আগে ছয় উইকেট হাতে রেখে।
ইতিহাস গড়ার ম্যাচে পচেফস্ট্রোম এ শুরুতেই টস জিতে বাজিমাত আকবর আলীর। ভাগ্যের সেই জয় অব্যাহত সবুজ গালিচায় দুর্দান্ত প্রতাপে।
দ্বিতীয় ওভারেই শামীমের স্পিন ভেলকিতে কুপোকাত রাইস মারিও। এরপর ক্যাচ দেন হোয়াইট। দুর্বার মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এমন ক্যাচই বলে দেয় ম্যাচে কতটা দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
৭৪ থানে চার উইকেট হারিয়ে হাঁসফাঁস করছিল কিউইরা। সেখান থেকে ধারার বিপরীতে লিডস্টোনের ৪৪ আর শেষ ওভারে ১৯ রান তোলা গ্রেনালের অপরাজিত ৭৫ রান। আর তাতেই আট উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোর থামে ২১১ রানে। শরীফুল নেন ৩ উইকেট।
লক্ষটা ছোট! কিন্তু বাংলাদেশের হারতে তো আর লক্ষ ছোট-বড় ইস্যু না। চিরচেনা সেই শঙ্কাটাই জেগে উঠে ৩২ রানে দুই ওপেনার ঘরে ফিরলে।
তবে ৬৮ রানের জুটি করে সেই শঙ্কাটাকে মাটি চাপা দেন তৌহিদ হৃদয় আর মাহমুদুল জয়। তৌহিদের ৪০ এর পর শাহাদাত ও অপরাজিত থাকেন সেই একই রানে।
মাঝে সবটুকু আলো একাই কেড়েছেন জয়। সুইপ করে তুলেছেন এ পর্যায়ে তার চতুর্থ আর এই আসরের প্রথম বারের মতো বাংলাদেশী হিসেবে সেঞ্চুরি। সেই মাহমুদুল হাসান যখন একশোতে থামলেন তখন পচেফস্ট্রোমে লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটি মাইলফলক।